আগামী বছর এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণা নিয়ে ইতোমধ্যে মাঠের রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। জামাত-এনসিপি একমত। বিএনপি তাদের ‘ডিসেম্বর’-এ অনড় এখন পর্যন্ত। চিফ অ্যাডভাইজারের হঠাৎ করে এই ঘোষণার মাজেজা কী?
তিনি যেমন সবাইকে নিয়ে ‘খেলছেন’, তেমনি এই ঘোষণাটিও সেই ‘খেলার’ অংশ।
‘২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন’ ঘোষণা দিয়ে তিনি বিএনপিসহ দুই ডজন দলকে এবং সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে’ সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য তিনি একাধিকবার বলেছেন। ‘২৬-এর এপ্রিলে নির্বাচন’ বলে প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধানকে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, তার কাউন্টারে সেনাপ্রধান কী করতে পারেন, বা কী করা উচিৎ?
সেনাপ্রধান দ্রুত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের মিটিং করতে পারেন। সেই মিটিঙে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারেন-
১। ‘ঈদের পর পরই সেনাবাহিনীকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কীভাবে হবে সেটা সরকারের ব্যাপার, সেনাদের নয়’।
২। সরকারকে পেছন থেকে শক্তি যোগানো বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি ঈদের পর ‘দরবার মিটিং’ ডেকে সবার মতামত নিয়ে অফিসিয়াল ঘোষণা দিতে পারেন।
৩। ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে এই বক্তব্যকে চূড়ান্ত ধরে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারেন।
৪। তাতে সবার মতামত পেলে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে বর্তমান ইন্টেরিম বাতিল করে নতুন অন্তর্বর্তী/ তত্ত্বাবধায়ক/ জাতীয় সরকার গঠন করে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাতে পারেন।
এই সবকিছুই ‘হতে পারে’ বা ‘হওয়া উচিৎ’ কিংবা ‘পরিস্থিতি সেরকমই দাবী করে’ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা জানি না। তবে সমীকরণ অনুযায়ী হওয়ার কথা।
মনে রাখতে হবে ডিপস্টেট শুধু মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার এনজিও বাম/লিবারাল সাঙ্গপাঙ্গদের ইনস্টলড করেছে এমন নয়। তাকে বসানোর পর তার নিরাপত্তা এবং টিকে থাকার শক্তি যোগানোর জন্য সেনাবাহিনীকে অনুরোধ/চাপ দেয়নি এটা হতে পারে না। তবে সেই চাপ, অনুরোধ কিংবা প্রতিদানের ব্যাপারটা দেশ রক্ষার বিষয় থেকে বড় নয়। সেটা হলে সেনাপ্রধান বার বার তারিখ বেঁধে দিতেন না।
ওয়েল। ওয়েট এন্ড সি… অবভিয়াসলি উইদাউট পপকর্ন।
৭ জুন ২০২৫