চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা নিয়ে এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনায় দুটি টার্মিনাল নিয়ে চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত পৃথক দুই অনুষ্ঠানে চুক্তি দুটি সই হয়েছে। স্বাক্ষর প্রকাশ্যে হলেও চুক্তিতে বিস্তারিত কী কী শর্ত রয়েছে এবং কী কী তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে করা চুক্তিতে সই করেন ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, আরও উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পিপিপি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক চৌধুরী ও নৌপরিবহন সচিব নুরুন্নাহার চৌধুরী।
চুক্তি অনুসারে, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং ৩০ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ডেনমার্কের এপি মোলার মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। পিপিপি’র আওতায় এ টার্মিনাল নির্মাণের জন্য কোম্পানিটি ৫৫ কোটি ডলার বা প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পরপরই ২৫০ কোটি টাকা ‘সাইনিং মানি’ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, ২২ বছরের জন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেডলগ এস। এ টার্মিনালে মোট ৪ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মেডলগ। এ ক্ষেত্রে সাইনিং মানি হিসেবে তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে ১৮ কোটি টাকা।

এই চুক্তিকে সরকারের পক্ষে ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতির জন্য বড় অবদান’ বলছেন।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী বলেন, ‘লালদিয়া দেখিয়ে দিয়েছে পিপিপি শুধু তত্ত্বে নয়, বাস্তবেও কার্যকর। ভবিষ্যতেও আমরা বাস্তবায়নকেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নেই মনোযোগ দেব।’ এ সময় আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন বন্দর বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ সোমবার পৃথক বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শ্রমিক–কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম।
চুক্তির বিরোধিতাকারীদের বিষয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা চুক্তির ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছেন না, তাঁদের আমি অনুরোধ করব, আপনারা ব্যাপারটা ভালো করে বোঝেন। বিরোধিতা করতে কোনো অসুবিধা নেই; তবে দেশের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য কী করছি, তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
স্কপ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরকার যদি অবিলম্বে সরে না আসে তাহলে আগামী ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামে ডাকা শ্রমিক কনভেনশন থেকে হরতাল ও ঢাকা–চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
স্কপ নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক-কর্মচারী, ব্যবসায়ী সমাজ ও দেশের জনগণের ন্যায্য দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে সরকারের এই গণবিরোধী ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। দেশের কৌশলগত বন্দর সুবিধা প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু কোনো রকম জাতীয় স্বার্থ যাচাই, স্টেক হোল্ডারদের মতামত অথবা পর্যাপ্ত সময় ছাড়াই এই দীর্ঘমেয়াদি ইজারা চুক্তি করা হয়েছে। স্কপ অবিলম্বে লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
নেতারা বলেন, সরকার আরও জানিয়েছে যে আগামী সপ্তাহে এনসিটি নিয়েও চুক্তি করা হবে। যা জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও জনমতের পরিপন্থি। এভাবে একের পর এক কৌশলগত স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিলে দেশের বাণিজ্য, শ্রমবাজার ও অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া এবং পানগাঁও টার্মিনালদুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘তাড়াহুড়ো করার ও গোপনীয়তার’ অভিযোগ এনে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
পতেঙ্গা টার্মিনাল গত বছরের জুনে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল বা আরএসজিটিআইকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি দুটি অর্থাৎ, জিসিবি ও সিসিটিই কেবল দেশীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। তবে সিসিটিও পরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে যেতে পারে। চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড বর্তমানে এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। এদের কাছ থেকেই পরে দায়িত্ব নেবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
তবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে; বিদেশি অপারেটর এলে দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যয় কতটা সাশ্রয়ী হবে; এসব বিষয়ে কিছুই প্রকাশ করেনি সরকার। বন্দর কর্তৃপক্ষও মুখ খুলছে না। আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে এসব নেহায়েত বাণিজ্যিক চুক্তি, এর সঙ্গে দেশের অখণ্ডতা বিনষ্টের কোনও সম্ভবনা নেই।
স্মরণ করা যাক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্রনিক্যালস! তারা বাণিজ্য করার জন্য একটি নৌবহর নিয়ে এসেছিল এবং তাদের নৌকা রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চেয়েছিল, পরে তারা ছোট ছোট কুঠি স্থাপন করে, যা পরবর্তীতে বড় বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬০০ সালে রানী প্রথম এলিজাবেথ তাদের ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার একচেটিয়া অধিকার দেয়। তারা প্রথমে বালেশ্বরে একটি বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে এবং পরে হুগলি, ঢাকা, কাসিমবাজার ও কলকাতায়ও বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে।
এরপরেই তারা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) এবং বক্সারের যুদ্ধের (১৭৬৪) মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। ১৭৬০ সালে তারা মীর জাফরকে সরিয়ে মীর কাশিমকে সিংহাসনে বসায় এবং পরে মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের অধিকার পায়।
এর সঙ্গে চট্টগ্রামের কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবহারের চুক্তির সম্পকূ কি? নিছকই বাইল্যাটারাল বিজসেন ডিল? আসুন দেখা যাকঃ
এই চুক্তি শুধুই ব্যবসা নয় বরং ভূ-রাজনৈতিক স্ট্রাটিজিক্যাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতই দখলদারিত্বে প্রাথমিক সোপান। যার সম্ভাব্য পরিণতি-বিশ্ববাণিজ্যের যুদ্ধকেন্দ্র হয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হারানো পর্যন্ত হতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর নানা কারণে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, বঙ্গোপসাগরে ভারত–চীন–মিয়ানমারসহ মালাক্কা প্রণালী হয়ে আসিয়ান কানেক্টিভিটি, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা তথা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।
১. চট্টগ্রাম বন্দর এই অঞ্চলের একমাত্র প্রাকৃতিক সমুদ্রবন্দর যাকে বলা যেতে পারে বঙ্গোপসাগরকে নিয়ন্ত্রণের গেটওয়ে। মালাক্কা প্রণালী হয়ে ইন্দোপ্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্য রুটের সাঙ্গে জড়িত। সেটা যতটা বাণিজ্যের কারণে, তার চেয়ে বেশি সামরিক দিক থেকে। বিশ্ব রাজনীতিতে এই অঞ্চলটি যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তারাই পুরো এসিয়া-ওসেনিয়া-ভারত মহাসাগরে কর্তৃত্বের ছড়ি ঘোরাবে।
২. ভারতের ল্যাণ্ডলক উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ওপর নজদারির জন্য সমুদ্রপথের সবচেয়ে কাছে। যদিও ভারত তার পণ্য রফতানি-আমদানিতে এই বন্দর থেকে সুবিধা নিতে পারে না, তাই তারা মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর থেকে মিজোরাম পর্যন্ত স্পেশাল হাইওয়ে নির্মাণ করেছে। যেখান থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে লজিস্টিক সাপ্লাই দেবে। এখানে বর্হিশক্তি ঘাঁটি গাড়লে ভারতের জন্য তা হুমকি স্বরূপ।
৩. চীনের কুনমিং থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে BCIM করিডর, চীনের মেরীটাইম বেল্ট এন্ড রোড ইনিমিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম চীনের বানানো কর্ণফুলী টানেল ও বিনিয়োগনির্ভর শিল্পাঞ্চলের প্রবেশ মুখ, এই অঞ্চলে চীনের সামুদ্রিক সক্ষমতা সীমিত করার জন্য মার্কিনের চট্টগ্রাম বন্দর ও মালাক্কা প্রণালী নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনকে কব্জায় রাখতে আমেরিকার কাছে কৌশলগত কারণে চট্টগ্রাম বন্দর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। চীনের রফতানি পণ্যের প্রায় ৬০ ভাগের গেটওয়ে মালাক্কা প্রণালী। অঞ্চলটি চীন-ভারত-জাপান-মিয়ানমার সকল পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রাখতে মরিয়া। এই অঞ্চলে আমেরিকা এসে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে, কক্সবাজারের শিলখালিতে ঘাঁটি গাড়তে পারলে বাকি দেশগুলোর ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে পারবে। আর সে কারণেও তাদের চট্টগ্রাম বন্দরকে আগে ‘হাত করা’ দরকার।
৫. মিয়ানমারের উপর থেকে চীনের কর্তৃত্ব হঠিয়ে সেখানে নিজেরা গেড়ে বসে রেয়ার আর্থ মিনারেল কব্জা করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরের মত এমন একটি পোতাশ্রয় দরকার আমেরিকার, যেখান থেকে চীন, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনামসহ আশেপাশের গোটা ইন্দোপ্যাসিফিক জোনে খবরদারি করতে পারবে।
৬. রাখাইন আর্মি পুরোপুরি আমেরিকার সাহায্যে চলে। তাদের অধীনে প্রায় দেড়শ’ মাইল লম্বা সামুদ্রিক অঞ্চল। সেখানে সহজেই আমেরিকা ঘাঁটি বানাতে পারে। তার পরও তাদের চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এরই আশেপাশে করিডোর/ঘাঁটি বানাতে হবে!
প্রশ্ন উঠতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর কব্জা করে এই অঞ্চলে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে বাণিজ্যের সিংহভাগ দখল করতে চায় আমেরিকা, কিন্তু বন্দর তো লিজ দেওয়া হচ্ছে ডেনমার্ক, আরব আমীরাত, সুইজারল্যান্ড ও সৌদি আরবকে। তার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কি?
এটাই আমাদের পলিটিক্যাল ক্লাউন, অকাট মূর্খ, সাম্রাজ্যবাদের বাটার-ব্রেড গেলা বুদ্ধিব্যাপারি, হাত-পাতা ভিখিরি এনজিও গং, অস্তিত্বের সংকটে ভোগা লিবারেল বাম আর প্যারাসাইট কালচারাল ফ্রন্টের গোবর মস্তিষ্কে ধরা পড়ছে না। পড়ার কথাও নয় কারণ, সেখানে ঠাসা রয়েছে কুবুদ্ধি আর কূটবুদ্ধি। ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, আমীরাত, সৌদি আরবের এইসব কোম্পানির গোঁড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এইসকল কোম্পানি শুধু যে পোর্টবিজনেস করে তাই নয়, এরা সামরিক দিক থেকেও একটা ‘কন্টিনজেন্ট’। আজকে একটি কোম্পানির কিছু হোক, দেখা যাবে সবার আগে আমেরিকা জবাব চাইছে।
দেশের ১৭ কোটির ৯৯ শতাংশই এতসব জটিল এবং কুটিল বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারে না। তারা এসব কেনা-বেঁচার কোনোকিছুতেই নেই। ওই যে ১ শতাংশ, তারাই দেশের পরগাছা বুদ্ধিবৃত্ত্বিক ধেড়ে শয়তান। দেশমাতৃকাকে নিলামের হাটে তুলে বেঁচে দিতে এদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না, বরং উৎসবে মোডে এসব শয়তানি করে আসছে, এবারও করতে নেমেছে। বাংলাদেশের প্রধান ধমনী চট্টগ্রাম বন্দরে বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদীদের ঘাঁটি গাড়তে দিয়ে এরা ২শ’ ৫শ’ কোটি টাকার চেমো গন্ধে নেশাগ্রস্থ।
এই সংকট থেকে যারা দেশকে বাঁচাতে পারত সেই ‘জনদরদী’ সাজা রাজনৈতিক দলগুলো এখন আগামী বছরগুলোতে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের চামড়া ছিলে নুন লাগাবে সেই স্বপ্নে বিভোর। বাম নামধারী বিকলাঙ্গগুলো আগেই বিবেক-বিবেচনা আমেরিকার কাছে বেঁচে দিয়ে এখন মিনমনে সুরে ‘মৃদু প্রতিবাদ’ জানিয়ে জনগণের চোখে ঠুসি পরাতে ব্যস্ত।
সমস্যা হলো যে বেঈমানদের লোভের বলি হয়ে দেশটা আবার পশ্চিমাদের কলোনি হতে চলেছে… যখন সত্যি সত্যিই দেশটা ‘নয়া পশ্চিমা উপনিবেশ’ হয়ে যাবে এবং ফিলিপিনসের মত এখানকার ১১/১২ বছরের কন্যা শিশুরাও গর্ভ ধারণে বাধ্য হবে, তখন জবাবদিহিতার জন্য এদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।




