বাংলাদেশের জন্য জয়ের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। এরপরও শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় টাইগাররা। তবে তাতে চাপে পড়েনি দল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমন-হৃদয়ের ভয়-ডরহীন ব্যাটিং জয়ের ভিত গড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে হেসে-খেলেই হারাল লিটন দাসের দল। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতল ফিল সিমন্স বাহিনী।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন অভিষিক্ত সালমান মির্জা। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশি দলনেতা লিটন দাসকেও ফেরান তিনি। তানজিদ-লিটন দুজনই ১ রান করে করেন।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপ সামলে নেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের করা ৭৩ রানের জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। আব্বাস আফ্রিদির করা বলে আউট হওয়ার আগের ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়।
এরপর জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ইমন। ৩৯ বলে খেলা তার ইনিংসটি দুটি চার ও পাঁচটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ১৫ রান করেন জাকের আলি অনিক।
এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশি দলনেতা লিটন দাস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই এসেছিল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার সুযোগ। কিন্তু ক্যাচ ছাড়েন তাসকিন আহমেদ। তবে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে সায়েম আইয়ুবকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে মোহাম্মদ হ্যারিসকে আউট করেন শেখ মেহেদী হাসান।
তাসকিন-মেহেদীদের সঙ্গে উইকেট উৎসবে যোগ দেন দুই টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান। পাকিস্তানি দলনেতা সালমান আলি আঘাকে তানজিম ও হাসান নেওয়াজকে মোস্তাফিজ সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নেওয়াজও, দ্রুতই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
পাকিস্তান প্রথম পাঁচ উইকেট হারিয়েছে চোখের পলকে। এই পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। আইয়ুব ৬, হ্যারিস ৪, সালমান ৩, হাসান নেওয়াজ শূন্য ও মোহাম্মদ নেওয়াজ ৩ রান করেন।
ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনার ফখর জামান। কিন্তু রানআউটের কবলে পড়ে থেমে যায় তার ইনিংস। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর দলীয় স্কোরে কিছু রান যোগ করেন খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি। সপ্তম উইকেট জুটিতে আসে ৩৩ রান। ২৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন খুশদিল। পরের উইকেটে নেমে ৫ রান করেন ফাহিম আশরাফ। রানের খাতা খুলতে পারেননি সালমান মির্জা। আর ২২ রান করেন আব্বাস আফ্রিদি।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রানের খরচায় দুটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২২ রানের খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও শেখ মেহেদী হাসান।