চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও জশনে জুলুসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় অন্তত ১২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত থেমে থেমে চলে। এ সময় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ জানান, মাদ্রাসাটিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক লোক সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি অবনতি হয়।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগেই দারুল উলুম মাদ্রাসা নিয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্টকারী ব্যক্তিকে ফটিকছড়ি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।’
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় অন্তত ১২০ জন আহত হয়েছেন। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ জানান, আহতদের মধ্যে ১০৭ জনকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেলা প্রশাসন আজ রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এগারোমাইল থেকে মীরের হাট বাজার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
পুলিশ আরও জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং শান্তি বজায় রাখতে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আজ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।