গুরুতর শাস্তির মুখে রোনালদো

পর্তুগালের সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম দিকে খেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সরাসরি লাল কার্ড পাওয়ার পাশাপাশি তার উত্তেজিত এবং সহিংস আচরণ—বিশেষ করে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় জন ও’শিয়াকে কনুই দিয়ে আঘাত তাকে ফিফার পক্ষ থেকে গুরুতর শাস্তির ঝুঁকিতে ফেলেছে।

এই ঘটনার জেরে রোনালদো আগামী রবিবার আর্মেনিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না, যা দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে আসল উদ্বেগ এখন তার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

ফিফার শৃঙ্খলা কোড অনুযায়ী, রোনালদোর কর্মকাণ্ড দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পড়তে পারে, যার ফলে শাস্তির মাত্রা ভিন্ন হতে পারে।

১. গুরুতর ফাউল প্লে : যদি কনুইয়ের আঘাতটি ‘অতিরিক্ত বল-দাবির সময় সহিংসতা’ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ন্যূনতম দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। ফ্রান্সের অরিয়েলিয়ান টচুয়ামেনি এবং তুরস্কের বারিশ আলপের ইয়িলমাজকে সরাসরি লাল কার্ডের জন্য এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

২. সহিংস আচরণ : রোনালদোর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে যদি ফিফা কনুই দিয়ে আঘাতটিকে ‘সহিংস আচরণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এই ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। এই মৌসুমে টিগ্রান বারসেগ্যানকে একই ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

যদি রোনালদোর আচরণ সহিংস হিসেবে চিহ্নিত হয়, তবে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না, যা পর্তুগালের গ্রুপ-পর্যায়ের লড়াইকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।

এই মুহূর্তে পর্তুগাল যদি আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে, তবুও রোনালদোর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ফিফার নিয়ম অনুসারে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই কার্যকর হয়, বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে নয়। এর অর্থ হলো, ফিফা যদি কঠোর শাস্তি দেয়, তবে তা সরাসরি বিশ্বকাপের মঞ্চেই প্রয়োগ হবে।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025