গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল রানা (৩০) ও গোপালগঞ্জ সদরের ইমন (২৪)।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মোহাম্মদপাড়া এলাকার সুমন বিশ্বাসকে (২০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সুমনের মা নিপা বিশ্বাস বলেন, দুপুরে জানতে পারি ছেলের শরীরে গুলি লেগেছে। তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছেলেকে দেখতে সেখানে যাই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় নিয়ে আসি।
আহত সুমন জানান, তিনি সদর উপজেলার পাচুরিয়া এলাকার এনএসআই কোয়ার্টারের পেছনে একটি পানি সরবরাহকারী কোম্পানিতে কাজ করেন। দুপুরে তিনি কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান এবং একটি গুলি তার পেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে সামনের দিকে বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঢামেক জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, সুমনের পেটের সামনে ও পাশে দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং ডান হাতের একটি আঙুলও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।