গোপালগঞ্জে হামলা–সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে প্রথম দফায় পৌরসভার গেটপাড়া কবরস্থান থেকে রমজান কাজী ও ইমন তালুকদারের লাশ তোলা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে আরেক নিহত সোহেল রানার মোল্লার লাশ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ দস্তগীরের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে বেলা ৩টার দিকে উত্তোলন করা হয়।
এর আগে রবিবার নিহত রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুদার (১৮) ও সোহেল রানা মোল্লার (৩৫) লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রোমানা রোজী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ১৬ জুলাই রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানা মোল্লা গুলিতে নিহত হন। তখন ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁদের দাফন করা হয়। এরপর ১৯ জুলাই এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপি জুলাই পদযাত্রা ঘিরে হামলা, পরে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় নিহত হন চারজন। কিন্তু তাদের মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়নি। পুলিশ লাশের সুরতহালও করেনি। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া একজনের ময়নাতদন্ত হয়। আরেক নিহত দীপ্ত সাহার লাশ দাহ করায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হবে না।