কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার মাকে নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার ঘটনা জানাজানির পর সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া একটি দৃশ্য ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার নিজ বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে যেকোনো সময়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
নিহতরা হলেন- কুবির লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন পিংকি (২৩) এবং তার মা ফাতেমা আক্তার (৫২)। পাঁচ সদস্যের পরিবারের মধ্যে কিছুদিন আগে সুমাইয়ার বাবা মারা যান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কালিয়াজুরি সংলগ্ন হাতেখড়ি আনন্দ পাঠশালা স্কুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে পরিবারটি। সেখানে মা, মেয়ে ছাড়াও তার দুই ভাই থাকেন। রবিবার রাত ১১টার দিকে পিংকির ভাইদের মধ্যে একজন বাসায় ঢুকে পিংকি ও ফাতেমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
সিসিটিভি ফুটেজ ‘হাওয়া’
হত্যাকাণ্ডের সময় সেই বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরও কেউ ছিলেন কি-না তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ঘটনার দিন সকাল থেকে দুপুরের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মাথায় টুপি, পাঞ্জাবি, পাজামা পড়া বাসায় প্রবেশ করে। পরে বেলা ১১টা ২২ মিনিটের দিকে তাকে বের হতে দেখা যায়। সবশেষ আবারও বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। তবে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি।