নিউইয়র্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ – সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা বিশ্ব মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহরের কারণে নিউ ইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় আটকে পড়তে হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি নিজের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে বাধ্য হন এবং শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে সরাসরি ফোন করে নিজের ‘দুর্দশার’ কথা জানান।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর। ফরাসি প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর যখন নিউ ইয়র্কের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর আসার কারণে পুলিশ কর্মকর্তারা রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ম্যাক্রোঁর অনুরোধ সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে যেতে দেয়নি, কারণ তাদের কাছে নির্দেশনা ছিল ট্রাম্পের গাড়িবহর না আসা পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না।
এই অবস্থায়, ম্যাক্রোঁ রাস্তায় নেমে পড়েন এবং স্থানীয় একজন সাংবাদিকের ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি হাসতে হাসতে ট্রাম্পকে ফোন করে বলছেন, “কেমন আছেন? অনুমান করুন তো কী ঘটেছে? আমি রাস্তায় অপেক্ষা করছি, কারণ সবকিছু আপনার জন্য থেমে গেছে।“
এই ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও এই বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে। অনেকেই ম্যাক্রোঁর ধৈর্য এবং রসবোধের প্রশংসা করেছেন। বলা হচ্ছে, এই ঘটনাটি কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, বরং এটি দুই নেতার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি ইঙ্গিত দেয়।
ম্যাক্রোঁকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। এই সময় তিনি পথচারীদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এটি প্রমাণ করে যে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ক্ষেত্রেও সাধারণ নাগরিকের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এই ঘটনাটি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালীন ভিআইপিদের যাতায়াত নিয়ে ট্র্যাফিক ব্লকের একটি উদাহরণ হিসেবেও উঠে এসেছে।