ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স স্পষ্ট করে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে এপি।
এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের দক্ষিণে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন শেভেনিংয়ে দুই নেতা ইসরায়েল-হামাস সংঘাত, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল রাজি না হলে আগামী সেপ্টেম্বরেই তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ভ্যান্স বলেন, ‘গাজায় কার্যকর সরকার না থাকায় এমন স্বীকৃতির অর্থ আমি বুঝতে পারছি না।’
ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের পরিকল্পনা সম্পর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই অবগত ছিলেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা যদি সহজ হতো, অনেক আগেই তা হয়ে যেত।’
ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের সমাধান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মতভিন্নতার মধ্যেই এই বৈঠক হয়। যুক্তরাজ্য বলছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই শান্তি আলোচনার অংশ হতে হবে, অন্যদিকে ট্রাম্প জোর দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়।
এ ছাড়া ব্রিটিশ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির শর্ত এবং গত জুনে ঘোষিত বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও লেবার পার্টির সদস্য ল্যামি ও রিপাবলিকান ভ্যান্স ব্যক্তিগতভাবে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-কে ল্যামি বলেন, দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্র শ্রমজীবী শ্রেণির অকার্যকর শৈশব ও খ্রিস্টান বিশ্বাসের অভিজ্ঞতা। ‘আমি জেডিকে একজন বন্ধু মনে করি,’ মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটনে ভ্যান্সের বাড়িতে এক ক্যাথলিক সমাবেশে ল্যামি অংশ নেন। পরে গত মে মাসে রোমে পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক অনুষ্ঠানে তাদের আবার দেখা হয়।