বৃষ্টি-ভেজা মাঠ বদলের নাটকীয়তা আর শান্তি মার্ডির হ্যাটট্রিকের ম্যাচে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হওয়া ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল বাংলাদেশ দল। সপ্তম মিনিটে উমহেলার দুর্দান্ত এক থ্রু বল থেকে শান্তি মার্ডি গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। তবে যত এগিয়েছে সময়, ততই আকাশ কালো করে এসেছে। প্রথমার্ধ শেষে হঠাৎ নামা বৃষ্টিতে মাঠ রূপ নেয় জলাভূমিতে। ফুটবলে ১৫ মিনিটের বিরতি সাধারণ নিয়ম, কিন্তু সে বিরতি এবার রূপ নেয় প্রায় তিন ঘণ্টার প্রতীক্ষায়।
ম্যাচ কমিশনার আনসার আসিফ দুই দফা মাঠ পরিদর্শনেও যখন সন্তুষ্ট হতে পারেননি, তখন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নতুন সিদ্ধান্ত—ভেন্যু পরিবর্তন! এমন ঘটনা বাংলাদেশের ফুটবলে নেই বললেই চলে। দ্বিতীয়ার্ধ গড়ায় বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে, সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে।
মাঠ বদলালেও বদলায়নি বাংলাদেশের ছন্দ। যদিও ৫২ মিনিটে সাংগাই ওয়াংমোর গোলে হঠাৎ করে চমকে ওঠে গ্যালারি। স্কোরলাইন হয় ১-১। কিন্তু এরপরই যেন ঘুম ভাঙে লাল-সবুজ শিবিরের। ৫৭ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে গোল করে দলকে আবারও এগিয়ে দেন শান্তি মার্ডি।
এরপর ৭৬ মিনিটে মাঠে নেমে বাজিমাত করেন বদলি খেলোয়াড় মুনকি আক্তার। মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় দুই ডিফেন্ডারকে চমকে দিয়ে অসাধারণ এক ফিনিশে তিনি করেন দলের তৃতীয় গোল।
ম্যাচের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মুহূর্ত আসে ৭৯ মিনিটে। রাইট উইং থেকে উমহেলার নিখুঁত ক্রস সরাসরি শান্তির পায়ে গিয়ে পড়ে। ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত ফিনিশে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শান্তি মার্ডি, যা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের ৪-১ গোলের দাপুটে জয়।
তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে বাংলাদেশ এখন টেবিলের শীর্ষে। ১৭ জুলাই একই প্রতিপক্ষ ভুটানের বিপক্ষেই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। আজকের জয় শুধু আত্মবিশ্বাস বাড়াল না, একই সঙ্গে দলের গভীরতা ও ধারাবাহিকতাও প্রমাণ করল।