এক মাসের ব্যবধানে দুই চার্চে ককটেল হামলা

ঢাকায় এক মাসের ব্যবধানে দুই চার্চে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও অন্য হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল চার্চের ফটকে ককটেল হামলায় জড়িতদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। কে বা কারা, কেন এ হামলা চালায় তাও জানা যায়নি। তবে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এক মাসের ব্যবধানে ঢাকার দুটি চার্চে হামলা চালানো হয় বলে ধারণা খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের। ৮ অক্টোবর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি চার্চে দুটি ককটেল ছোড়া হয়। তখনও একটি বিস্ফোরিত হয় এবং অন্যটি পড়ে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে পালিয়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কাকরাইলের ওই চার্চ লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছোড়া হয়। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-দক্ষিণ) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়। তারা অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করে। ঘটনাটি রমনা থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল চার্চের ফাদার আলবার্ট রোজারিও বলেন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ২০২৫তম জয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার একটি বড় অনুষ্ঠান ছিল। সেজন্য শুক্রবার রাতে চার্চের ভেতর যখন প্রস্তুতি চলছিল, তখন দুটি ককটেল ছোড়া হয়। এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানায়। অনুষ্ঠানের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাস্থলটি চার্চের সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি। কোনো কারণে আতঙ্ক তৈরির উদ্দেশ্যে এমনটা করা হচ্ছে বলে ধারণা আমাদের।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ককটেল হামলার ঘটনা ছোট হলেও এটা বড় ঘটনার পূর্বাভাস বলে তারা মনে করছেন। এর আগে দেশে টার্গেট কিলিংয়ের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। কোনো পক্ষ হয়তো এটা বোঝাতে চাইছে যে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভালো নেই।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ঘটনাটির তদন্তে এখনও উল্লেখযোগ্য কিছু জানা যায়নি।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মোটরসাইকেলে আসা দুজন ব্যক্তি চার্চে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যান। তাদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

    People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025