নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করা জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৪ রাজনৈতিক দল প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এসব দলের ত্রুটি সংশোধনের জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি পাঠাবে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, ত্রুটি সংশোধনে দুই ধাপে এসব চিঠি দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৬২ দলকে চিঠি দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ অন্যান্য দলকে চিঠি পাঠানো হবে।
১৫ দিনের মধ্যে ত্রুটি ও বিচ্যুতি সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আলী নেওয়াজ।
নির্বাচন কমিশন গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। পরে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ১৪৪ দল নিবন্ধনের আবেদন করে।
বিদ্যামান নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে হলে তাদের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কমিটি এবং অন্তত ১০০ উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণও লাগবে। এছাড়া কোনো দলের কেউ যদি পূর্বে সংসদ সদস্য হন বা আগের নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকেন, তবে সেটিও নিবন্ধনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব শর্ত ছাড়াও আরও নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে, যা প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় খতিয়ে দেখে ইসি।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরুতে ইসি প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই করে। এরপর মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করে এবং সম্ভাব্য আপত্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। কোনো আপত্তি এলে শুনানির মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজস্ব প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হয়। এ পর্যন্ত মোট ৫৫ দল নিবন্ধন পেলেও শর্ত পূরণে ব্যর্থতা, নিয়ম লঙ্ঘন ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে ইসি।
গত ১২ মে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ওই দিনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে ইসি।