ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভারি থেকে অতিভারি মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘নির্ঝর’। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে বিডব্লিউওটি নিজেদের ফেসবুক পেজে এমন তথ্য জানায়।

পোস্টে বিডব্লিউওটি জানায়, দেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভারি থেকে অতিভারি মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘নির্ঝর’। এটি একটি আংশিক বৃষ্টিবলয়, এর প্রভাবে দেশের বেশ কিছু এলাকা বৃষ্টিহীন থাকতে পারে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘নির্ঝর’ চলতি বছরের সপ্তম বৃষ্টিবলয় এবং তৃতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা ২৮ জুন দেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে শুরু হয়ে আগামী ৫ জুলাই রাজশাহী বিভাগ হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। দেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় সর্বাধিক সক্রিয় থাকলেও বেশ সক্রিয় থাকবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে। আর মাঝারিভাবে সক্রিয় থাকবে সিলেট বিভাগে। এ ছাড়া রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি মানের সক্রিয় থাকবে।

এ সময় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। কালবৈশাখীর আশঙ্কা না থাকলেও কমবেশি বজ্রপাত হতে পারে। পাশাপাশি বড় কোনো ঝড়ের সম্ভাবনা না থাকলেও উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপের প্রভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর মৌসুমি বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে বেশিরভাগ সময়ই সাগর কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।

এ দিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৮ জুন) আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের সই করা সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

Tags :

News Desk

Most Discussed

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More on this topic

 People’s Agenda

Copyrights are reserved by NE News © 2025