বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানোর কথা বলেছেন, এখন তিনিই তা আরও বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া বাজেটে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ আরও চাপে পড়বে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আয়োজনে দুঃস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম। কিন্তু আমাদের তো বেশি দরকার স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষা খাতে। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তো সরকারই দেখবে। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে অনেক কথা বলেছেন। এখন তো তিনি নিজে ক্ষমতায়। তিনি তো গরিব মানুষকে দেখবেন। তিনি বলেছিলেন দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবেন। এখন দেখছি উনার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা কালো টাকা তারা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে।
দেশ ভালো চালাতেই গণতন্ত্রকামী দলগুলো ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, তার হাত দিয়ে যে বাজেট, সে বাজেট গরিবকে আরও গরিব করবে। এবং মুদ্রাস্ফীতি কমানোর উদ্যোগটা তো দেখতে পাচ্ছি না। মধ্যবর্তী ও নিম্ন মধ্যবর্তী মানুষের চাপ আরও বাড়বে।
শেখ হাসিনা সরকারের বাজেটের সঙ্গে এই সরকারের বাজেটে পার্থক্য কী, সে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনারাও দিয়েছেন। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের ২৩ শতাংশের উপরে যাবে শুধু প্রশাসনের বেতনের জন্যে, আর সুদের টাকা যাবে ১৪ শতাংশ। তাহলে গরিব মানুষের জন্য কী রেখেছেন? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলছে, তাহলে জনগণের জন্য কী করলেন?
ড. ইউনুসের সরকারের হাত দিয়ে কেন খারাপ কাজ হবে এটা মানুষ জানতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের তরফে সুস্পষ্ট বক্তব্য না আসারও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো চলুক। দেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। কিন্তু নির্বাচনটা কবে হবে আর কত দেরি হবে জিজ্ঞেস করলে উপদেষ্টা চুপ করে থাকে। একটা সময় সংস্কারকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী করেছে। সংস্কারকে সামনে নিয়ে এসেছে। এখন তাও বলছে না।
তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।