ক্লাস বাদ দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই সমাবেশে’ যেতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিন্দুবাসিনীর বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন বিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শিক্ষার্থী সাইফুল বারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী তানজিল আহমেদ, সজিব আহমেদ প্রমুখ।
১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল বারী বলেন, এনসিপির নামে নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার সকালে বিন্দুবাসিনী সরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। এ সময় তারা শিক্ষকদের অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের এনসিপির সমাবেশে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে এনসিপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার হয়নি, কিন্ত আমাদের কেনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তানজিল আহমেদ বলেন, গতকালকের ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয় বলে আগে আমাদের জানা ছিল না। যারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করেছে আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার আহবান করছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এনসিপির মিটিং উপলক্ষে ক্লাস চলাকালীন সময়ে নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন। তখন তারা আমাদের বলেছিলেন যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায় আমরা যেন যেতে দিই। তবে স্কুল চলা অবস্থায় আমার কাউকে যেতে দেবো না বলে জানিয়েছিলাম।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল বলেন, আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে আমি এ নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমরা তাদের বলেছি ভবিষ্যতে এনসিপির কোনো প্রোগামে তাদের আনা হবে না। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের স্যারদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের শামছুল হক তোরণ থেকে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিরালা মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।