খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মদিন আজ। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
ছোটবেলায় তাঁর নাম ছিল ‘লাল মিয়া’। বাবা মেছের আলী ছিলেন রাজমিস্ত্রী, মা মাজু বিবি গৃহিণী। দরিদ্র পরিবারে বড় হলেও সুলতান ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী ও শিল্পপ্রেমী।
এস এম সুলতান তাঁর রঙ-তুলির কাজ দিয়ে বাংলাদেশের চিত্রশিল্পকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে তুলেছেন। তাঁর ছবিতে কৃষক-শ্রমিকদের শক্তিশালী ও মর্যাদাবান রূপে তুলে ধরেছেন। এ কারণে তিনি পরিচিত ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ হিসেবে।
চিত্র আঁকার পাশাপাশি সুলতান বাঁশি বাজাতেন এবং বিভিন্ন পশুপাখির সঙ্গেও বন্ধুত্ব ছিল তাঁর। বিষধর সাপ, বেজি, বিড়ালসহ নানা প্রাণী পুষতেন তিনি।
শিল্পের অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮২), স্বাধীনতা পদক (১৯৯৩), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্ক বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’সহ দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এস এম সুলতান। তাঁকে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় নিজ সংগ্রহশালার পাশে সমাহিত করা হয়।
তার স্মরণে গড়ে উঠেছে সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা, শিশুস্বর্গ, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান। চিত্রা নদীর পাড়ে থাকা তাঁর দ্বিতল নৌকার শিশুস্বর্গ এখনো দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
এস এম সুলতান আজও বেঁচে আছেন তাঁর অসাধারণ শিল্পকর্ম ও মানুষের ভালোবাসায়।