ঢাকার গুলশানের লেকপাড় থেকে এক ছাত্রদল নেতার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। রাত ৩টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম সৌরভ হোসেন। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও ৬নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সদস্যসচিব ছিলেন।
জানা গেছে, গুলশানের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁচার চেষ্টায় সৌরভ প্রায় আধা কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি কাওসার হোসেন জানান, সৌরভকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে সৌরভের সঙ্গে আমাদের এক ছোট ভাইয়ের কথা হয়। তখন তিনি জানান, রুবেল নামের একজনের সঙ্গে দেখা করতে গুলশান লেকে গেছেন।
কারও সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল কি না জানতে চাইলে কাওসার জানান, রাজনীতিতে পক্ষ ও প্রতিপক্ষ থাকে। সৌরভেরও ছিল। তবে সম্প্রতি বাড়িওয়ালার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। আমরা নিশ্চিত নই ঠিক কীভাবে কী ঘটেছে। ঘটনাস্থল সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। প্রকৃত হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহত সৌরভের ভগ্নিপতি মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, আমরা থানায় এসেছি। ঘটনাটি নিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করবে আশা করছি।
ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করি। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির নামে আরও এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।
নিহত ছাত্রদল নেতা আহমেদ সাব্বিরের গলায় ফাঁসের চিহ্নসহ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।




