হবিগঞ্জ আদালতের হাজতখানায় শিশুসন্তান কোলে নেওয়া অবস্থায় ছাত্রলীগের এক নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশের দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের দুই সদস্য হলেন- হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এএসআই সবুজ চন্দ ও কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়া।
হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক বলেন, সোমবার মামলার হাজিরার জন্য ছাত্রলীগের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তার স্ত্রী সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে আদালতে আসেন। তারপর জাকির হোসেন তার সন্তানকে কোলে নেয়ার জন্য পুলিশের কাছে আকুতি-মিনতি করেন। এ সময় তার সন্তানকে কোলে নেওয়ার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
পরিদর্শক নাজমুল হক আরও বলেন, সন্তান কোলে নেওয়ার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এলে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি জাকির হোসেনকে শহরের কোর্ট জামে মসজিদের সামনে থেকে আটক করে পুলিশে দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।