সিলেটে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরীর লাক্কাতুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম রাহাত হোসেন (২৪)। তিনি নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
রাহাত বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পরিবার এই হামলার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।
সিলেটের বিমানবন্দর থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় একদল লোক রাহাতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার দুই পা ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। কারা এই হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, আহত যুবক হামলাকারীদের চিনতে পারেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তার পরিবার বলছে, এ বিষয়ে তারা পরে জানাবে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তবে আহত রাহাতের বাবা ফারুক বলেন, গতকাল আমার ছেলের এক বন্ধুর বাবা মারা গেছে। এজন্য রাহাত তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকজন হেমলেট পরা লোক এসে তাকে কুপিয়ে চলে যায়। তার হাত ও পায়ের রগ কেটে যাওয়ার পাশাপাশি পায়ের হাড্ডি ভেঙে গেছে।
তিনি বলেন, রাহাতের বাম হাতের দুটি আঙ্গুল আলাদা হয়ে গেছে। তার সারা শরীরে আঘাত করা হয়েছে।
রাহাত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন জানিয়ে তার বাবা বলেন, প্রায় আট থেকে নয় মাস আগে পাড়ায় জামায়াত ও শিবিরের লোকজনের সঙ্গে রাহাতের ঝামেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি পাড়ার মুরুব্বীরা বসে সমাধান করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা এ হামলা করেছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রশিবিরের সিলেট মহানগরের সভাপতি শরীফ মাহমুদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা ব্যস্ত ছিলাম। আমি কেন্দ্রে আছি। তবে কিছু হলেই ছাত্রশিবিরের নাম বলা হয়, এগুলো ভিত্তিহীন। এটি মিথ্যা অভিযোগ।