আগামী তিনদিন পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় (ওয়ার্নিং লেভেল) পৌঁছাতে পারে। এ সময়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা জেলার পদ্মা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তী দুইদিন পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানিও আগামী তিনদিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এরপর দুই দিন পানির উচ্চতা স্থিতিশীল থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেমি এবং দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টা এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে পানির উচ্চতা কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসতে পারে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, গঙ্গা নদীর পানি আগামী দুই দিন স্থিতিশীল থাকবে, এরপর তিন দিন হ্রাস পাবে। মহানন্দা, আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা ও ঘাঘট নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে; আত্রাই নদী সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। তৃতীয় দিনে হ্রাস পাবে। সিলেট ও ময়মনসিংহের মনু, ধলাই, খোয়াই ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি একদিন স্থিতিশীল থেকে পরে হ্রাস পেতে পারে। সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, লুবাছড়া, ঝালুখালি, ভুগাই ও কংস নদীর পানি আগামী দুই দিন হ্রাস পাবে।
বন্যা পূর্বাভাস বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও মিজোরামে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার দেখা যাচ্ছে, যা আগামী দুই দিন অব্যাহত থেকে তৃতীয় দিনে স্বাভাবিক হতে পারে।