ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান ও পর্তুগালের ৭ জন নাগরিক রয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল বিমানটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বেঁচে গেছেন বিমানের এক যাত্রী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার নামক বিমানটি উড্ডয়নের পর ৮২৫ ফুট ওপরে উঠতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটি আছড়ে পড়েছে একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। যেখানে এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা থাকতেন। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কাও রয়েছে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি ঘরবাড়ির খুব কাছ থেকেই উড়ে যাচ্ছিল। এরপরই হাঠাৎ সেটি নিচে নামতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পরে প্রচণ্ড ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ার পর সেখানে হৃদয়বিদারক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্তের পর বিশালাকৃতির আগুনের কুণ্ডলি দেখা গেছে। এরপর ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিমানটি ৮২৫ ফুট উঁচু থেকে পড়েছে। দুর্ঘটনার পরপর বিমানবন্দরের আশপাশের একাধিক সড়ক বন্ধ করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল ও সহকারী পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পরপরই বিমানে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদ বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে ও সব ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।