দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ১০টি ট্রাকে করে ৫০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোলে পৌঁছেছে। উৎসবের মরশুমে বাঙালি পরিবারগুলিতে এই অত্যন্ত প্রিয় মাছের চাহিদা বেশি থাকায়, রপ্তানির উপর চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বাংলাদেশ ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যান্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই মৌসুমে ইলিশের প্রথম চালানটি পেট্রাপোল সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) সাবরিন চৌধুরী।
ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দশ ট্রাক ৫০ টন ইলিশ এসেছে। আমরা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সেগুলো পাঠিয়ে দেব। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সকালের মধ্যে এগুলো কলকাতা এবং হাওড়ার বাজারে পাওয়া যাবে।’
শর্ত অনুযায়ী ৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুমোদিত পরিমাণের পুরো ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ আমদানি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকার এত কম সময় ধার্য করছে যে অনুমোদন পাওয়া ইলিশ পুরোপুরি আমদানি করা সম্ভব হয়নি।
আনোয়ার মাকসুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরও এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ আমদানি করা কিছুতেই সম্ভব হবে না। ইলিশ রপ্তানির কম দিন ধার্য করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে হাহুতাশ থেকে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ১২ ডলার মূল্যে ইলিশ পাঠাচ্ছে। তবে বিক্রেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের খুচরা বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের দাম পড়বে দুই হাজার রুপির ওপরে। ফলে মধ্যবিত্ত বাঙালির ‘ইলিশ বিলাসিতা’ মেটার আশা কম।