“সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ‘অতিরঞ্জিত‘ করে কোনো কোনো প্রতিবেদনে প্রচার করা হচ্ছে” বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (বিবিসি, ১৬ আগস্ট ২০২৪)।
“সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক কারণে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে” (ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান) – ঢাকা মেইল,১৮ মার্চ ২০২৫।
স্বয়ং সরকারপ্রধান যখন এধরণের মন্তব্য করেন, যখন বৃহত্তম দুটি দল ‘অলিখিতভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার স্টেকহোল্ডার’ হয়ে ওঠে, তখন নারকীয় জিঘাংসায় বিভৎসভাবে প্রতিটি খুনের ঘটনা “ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক ক্ষোভ” হিসাবে লঘু হয়ে যায়।
যারা এক বছর ধরে কয়েকজন উপদেষ্টার “গৃহযুদ্ধ শুরুর হুমকি” অথবা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শকে আজকের দিনে সরল স্বীকারোক্তি মনে করছেন, তারা বুঝতে পারছেন না ‘গৃহযুদ্ধ’ অনেক আগেই শুরু হয়ে এখন একতরফাভাবে চলছে। অন্যান্য দেশের গৃহযুদ্ধে দুই পক্ষই থাকে সশস্ত্র। এখানে এক পক্ষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বলিয়ান সশস্ত্র গোষ্ঠী আর তাদের শিকার নিরস্ত্র জনগণ, যাদের শত্রু হিসাবে দেগে দেওয়া হয়েছে।
মতামত বিভাগঃ মনজুরুল হক, ১২ জুলাই ২০২৫