সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় যুবদল নেতা শামীম হোসেনকে (৩৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুজনই নিহতের বন্ধু বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে ডুমুরিয়ার আঠারমাইল এলাকায় নিহতের নিজের তিনতলা বাড়ির ভেতরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শামীম হোসেনের গ্রামের বাড়ি তালা থানার উথালী গ্রামে। তিনি ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। নিহতের মা রশিদা বেগম (৬০) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং বাবা আব্দুল গফফার একই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শামীম ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার ১১ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে শেখ তাজ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (২৯) জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শামীমের দুই বন্ধু শরিফুল ইসলাম (৪২) ও পিজাজ (৫০) আইসক্রিম নিয়ে বাসায় আসেন। তারা শামীমকে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি বেডরুমে প্রবেশ করেন। ওই সময় স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও শাশুড়ি দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরও জানান, রাত ১১টার দিকে সন্দেহ হলে শাশুড়িকে বিষয়টি জানান। শাশুড়ি সিঁড়িতে গিয়ে দেখেন, শামীমের বন্ধুদের জুতা নেই। এরপর শামীমের মা, স্ত্রী ও ছেলে মিলে তৃতীয় তলার কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন শামীমকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে রাত ৩টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে তিনজন জড়িত থাকতে পারে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামীমের দুই বন্ধু শরিফুল ইসলাম ও পিজাজকে আটক করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি।