সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের করোনা সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। জনগণকে জনসমাগমস্থলে মাস্ক এবং বয়স্ক ও শিশুদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের এক খুদে বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “কোভিড ১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মিলিত প্রয়াস ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ায় ২০২১ সালের শেষ পর্যায়ে মহামারির অবসান ঘটে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
২০২২ সাল থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। গত বছরের (২০২৪) মাঝামাঝি থেকে এ বছরের ৩ জুন পর্যন্ত করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে গত ৫ জুন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন পরীক্ষা করা হয় ২১ জনের নমুনা। এর মধ্যে ৩ জনের শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশের থেকেও বেশি।