বুধবারের ম্যাচে ভারত স্পিনের শক্তিতে বাংলাদেশকে চেপে ধরে ৪১ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছে। তবে এই পরাজয়ের পরও ফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) টাইগারদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথমে তাত্ত্বিকভাবে সঠিক মনে হলেও, বাস্তবে তা উল্টো চাপ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। ইনিংসের শুরুতেই অভিষেক শর্মা খেলেন মাত্র ৩৭ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলাররা মাঝপথে কিছুটা ফিরে আসতে সক্ষম হয়, তবু ভারত দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১৬৮ রানে।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দ্রুতই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। কিন্তু একপ্রান্তে ভরসা হয়ে দাঁড়ান সাইফ হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৬৯ রান, ৩ চার আর ৫ ছক্কায় সাজানো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সঙ্গ পেলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ, রান থামে ১২৭-এ।
বাংলাদেশকে হারানোর মধ্য দিয়ে চলমান এশিয়া কাপের প্রথম দল হিসেবে ভারত চলে গেছে ফাইনালে। ভারতের কাছে এই হারের পরও বাংলাদেশের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। বরং ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা পরিষ্কার হয়ে গেল। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতেই হবে দলকে। সেটা হলে কোনো ধরনের হিসাব নিকাশ ছাড়াই ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ। আর যদি টাইগাররা হারে তাহলে ফাইনালে ভারত প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে পাকিস্তানকে।
এদিকে বাংলাদেশের পরাজয়ে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে শ্রীলঙ্কার। কারণ দুই ম্যাচের দুটিতেই হারা লঙ্কানরা কোনোভাবেই ৪ পয়েন্টে যেতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশ-পাকিস্তানের একটা দলের পয়েন্ট ৪ হবেই। আর তাই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটিকে অঘোষিত সেমিফাইনাল বলাই যায়।