শ্রীলঙ্কা জিতলেই জিতে যাবে বাংলাদেশ— গত ৩ দিন ধরেই এই বাক্যটিই বেশি পরিচিত বাংলাদেশিদের কাছে। আসলেই তাই। বাংলাদেশকে সুপার ফোরে তুলে দেওয়ার মূল কারিগর তো এই শ্রীলঙ্কাই। আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোরে উঠেছে লঙ্কানরা।
তবে সুপার ফোরে উঠতেই প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশকে আর বন্ধু রূপে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। কারণ, সুপার ফোরে তাদের প্রথম লড়াইটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে এই দুই দলের ম্যাচ মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ। সমর্থকেরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম মজার পোস্ট আর মিম শেয়ার করছেন। মাঠে নামলে দুই দলই একে অপরকে ছাড় দেয় না, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ছিল দুর্দান্ত। তিন ম্যাচে তিন জয় তুলে নিয়েছে তারা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিসের অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস লঙ্কানদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা আছেন ফর্মে, দলে ফিরছেন স্পিনার মাহিশ থিকশানা। যিনি দুবাইয়ের ধীর পিচে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ দলে আসতে পারে পরিবর্তন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ফিফটি করেছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার সঙ্গে সাইফ হাসানও আছেন ফর্মের তালিকায়। তবে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ সামলানোই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান। যদিও লঙ্কানদের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন, এবার তার সামনে আছে বাড়তি প্রেরণা। টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে তার দরকার মাত্র ৪ উইকেট। অন্যদিকে কুশল মেন্ডিসকে থামানোই হবে লাল-সবুজদের প্রথম লক্ষ্য।
দুবাইয়ের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। এবারের এশিয়া কাপে এখানে স্ট্রাইক রেট ১১০ এর নিচে নেমে গেছে, তাই স্পিনাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেন। গরম আবহাওয়ার কারণে খেলোয়াড়দের ফিটনেসও বড় পরীক্ষা হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশ এবার সুপার ফোরের শুরুটা দুই দলই জয়ে রাঙাতে চাইবে। শ্রীলঙ্কা চাইবে তাদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে। মোস্তাফিজ ও মেন্ডিসের দ্বৈরথ, নিশাঙ্কা বনাম তানজিদের লড়াই, ধীর উইকেটে স্পিনারদের প্রভাব- সবকিছু মিলিয়ে ম্যাচটা হতে যাচ্ছে বেশ টানটান উত্তেজনার।
সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ : তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক/উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা : পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চরিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুশমন্থ চামিরা ও নুয়ান তুশারা।