পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আত্মিক ও ঐতিহাসিক। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পাকিস্তান সফর করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্তান সফরে সে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের ‘সেইফ সিটি’ প্রকল্প, যেটা আমাদের দেশেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান হায়দার মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাকিস্তান পুলিশ একাডেমির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান হায়দারকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
বর্তমানে অপরাধী বা বন্দি বিনিময় বা হস্তান্তরে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি বা আইনি কাঠামো নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০০৪ সালে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা আর কার্যকর করা হয়নি। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন হাই কমিশনার।
বৈঠকে তিনি বলেন, নিরাপত্তা যানবাহন, ড্রোন সংগ্রহ ও ক্রয় এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে পাকিস্তান সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান, পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।




