ইরানের ওপর আমেরিকা ও ইসরায়েলের হামলার কোন প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশে। মাঠ গরম করা তো দূরের কথা, কেউ বিবৃতিও দিচ্ছে না। অনেক মুসলিম প্রধান দেশ আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানালেও বাংলাদেশের বর্তমান ইন্টেরিম সরকার এ ব্যাপারে একদম চুপ।
এই ঘটনাটা অন্য কোন সরকারের আমলে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে হলে ইসরায়েল দূতাবাস অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণাও দেখা যেত। যদিও বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাস নেই।
এটা কেবল আওয়ামী লীগই নয়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও এমনটা হতো।
মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ইমাম রূপে আবির্ভুত হয়েছেন। কাজি ইব্রাহিমের দৃষ্টিতে ইউনূস নবিদের মতো আল্লাহ কর্তৃক মনোনিত। তিনি থাকায় বাংলাদেশ শব্দ দূষণ থেকে অন্তত এই ক্ষেত্রে মুক্ত হয়েছে। ইউনূস-শাসনের এই একটা ইতিবাচক দিক আমি খুঁজে পেয়েছি।
হয়ত চুপ, হয়ত ভাবে শিয়া ইরানের চাইতে ইসরায়েল ভালো। ইসরায়েল নাম শুনলেই আগে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হতো, এখন অবশ্য হচ্ছে না।
যদিও ওসব ধর্মের অংশ নয়, তবু বলি- কথিত ধর্মীয় নেতারা যে ধর্ম নয়, ‘রাজনৈতিক ধর্মের অনুসারী’; এটা কি বুঝা গেল না!