ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস। দিনটি জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড।
পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদরদপ্তর কলকাতার বিজয় দুর্গে (ফোর্ট উইলিয়াম) গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দল যোগ দেন।
এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় স্মারক স্তম্ভে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের যোদ্ধাদের যৌথ লড়াইকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ যৌথ বাহিনীর হাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আট মুক্তিযোদ্ধা, দুই সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য।
প্রতিনিধি দলে আছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম লুৎফর রহমান ও মেজর শের-ই-শাহবাজ এবং তাদের স্ত্রীরা। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আছেন– মো. হাবিবুল আলম, মেজর (অব.) অলিক কুমার গুপ্ত, মেজর (অব.) কামরুল আবেদিন, মেজর (অব.) মনীষ দেওয়ান, মেজর (অব.) মো. আব্দুল হাকিম, মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামছুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল শফি।
এর আগে গত সোমবার সকালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি দলটি কলকাতার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের উদ্যোগে কলকাতার বিজয় দুর্গের মঙ্গল পাণ্ডে মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ায় আয়োজিত বর্ণাঢ্য মিলিটারি ট্যাটুতেও অংশ নেয় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি।
এ ছাড়া দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, ত্রিপুরা ও গৌহাটির বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত। সন্ধ্যায়ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।




