ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে দীর্ঘ সময়জুড়ে ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রাজত্ব। ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তাদের বাইরে কেউ খুব একটা জায়গা পাননি। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি জিতে সেই আধিপত্যের অবসান ঘটান। আর এবার ট্রফি উঠল নতুন এক তারকার হাতে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার জিতলেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে।
প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে ব্যালন ডি’অরের জমকালো অনুষ্ঠানে দেম্বেলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো। এই পুরস্কারটি জিততে দেম্বেলে পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালকে।
গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার দেম্বেলে। ক্লাবটির জার্সিতে ৫৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৫ গোল। শুধু তাই নয়, দলকে ঘরোয়া ট্রেবল জিততে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে পিএসজিকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতেও মাঠে দেম্বেলে ছিলেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। এছাড়া এক ম্যাচের শিরোপা লড়াই ফরাসি সুপার কাপেও জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
নারী বিভাগেও লেখা হলো নতুন ইতিহাস। স্পেন ও বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি জিতলেন বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে টানা তৃতীয়বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনি। বোনমাতির হাতে বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার তুলে দেন ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্পেন ও বার্সেলোনা তারকা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ছেলেদের ফুটবলে কেবল দুজন এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন। মিচেল প্লাতিনি ও লিওনেল মেসি টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।
গত মৌসুমে লিগা এফ, কোপা দে লা রেইনা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি করেছিলেন ২০ গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট। আর্সেনালের মারিয়ানো কালদেন্তেকে পেছনে ফেলেই সেরা হয়েছেন তিনি। কালদেন্তে যদিও জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২৩ গোল ও ১৮টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিনের দেওয়া ব্যালন ডি’অর চালু হয় ১৯৫৬ সালে। প্রতি বছর আগের মৌসুমের সেরা পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবেই দেওয়া হয় এই সম্মাননা। সমালোচনা-তর্ক থাকলেও ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হিসেবে ব্যালন ডি’অরের আবেদন আজও অটুট।