এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৩৮ সালে বিশ্বকাপ খেলেছিল ইন্দোনেশিয়া। তখন অবশ্য তাদের ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ’ বলা হতো। নেদারল্যান্ডসের উপনিবেশ থেকে বেরিয়ে ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর কখনো বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি দেশটি। তবে এবার স্বপ্নপূরণের খুব কাছে দাঁড়িয়ে তারা। যেখানে বাধা হয়ে আছে ইরাক ও সৌদি আরব।
গতকাল কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চতুর্থ রাউন্ডের ড্রয়ে গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে তিনটি দল। অপর গ্রুপে রয়েছে গত বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
ইন্দোনেশিয়ার জন্য আশার কারণ তাদের দলে প্রবাসী ফুটবলারদের ছড়াছড়ি। সৌদি আরবের সঙ্গে এর আগে তৃতীয় রাউন্ডেও দুবার সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের। প্রথম লেগে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে তুলে নেয় ২-০ গোলের ঐতিহাসিক জয়। চতুর্থ রাউন্ডেও একই পুনরাবৃত্তি চাইবে তারা।
১৯৮৬ বিশ্বকাপ খেলা ইরাকের বিপক্ষে জমা রয়েছে দুঃসহ স্মৃতি। বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের দুটি ম্যাচেই হেরেছে তারা। র্যাঙ্কিংয়েও সবার ওপরের দল ইরাক (৫৮)। সৌদি আরবের অবস্থান ৫৯। সেখান থেকে ৫৯ ধাপ পিছিয়ে ১১৮তে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চতুর্থ রাউন্ডে ৮ অক্টোবর সৌদি আরবের মুখোমুখি হবে তারা। ১১ অক্টোবর লড়বে ইরাকের বিপক্ষে।
এশিয়া অঞ্চল থেকে এবার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে আটটি দল। এর মধ্যে ছয়টি দল চূড়ান্ত হয়েছে। নিজেদের গ্রুপে রানার্সআপ হলে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলার সুযোগ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। অপর গ্রুপে ওমানও দেখছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।