সিলেটে গাড়ি মেরামতের দোকানে আগুন লেগে এক্স নোহা, মাইক্রোবাস, ৩টি মোটরসাইকেল ও পুলিশের একটি পিকআপসহ ১৩টি গাড়ি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আগুনে পুড়েছে ২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লাগা এই আগুনে নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় নবাবী মসজিদের পাশে গাড়ি মেরামতের দোকান ও ২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিটের ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত বা নিহতের হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এটি পরিকল্পিত না কি দুর্বৃত্তদের কাজ পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সিলেটের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীও আগুন নেভাতে সহায়তা করে। রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নামের একটি গাড়ি মেরামত, ডেন্টিং ও পেইন্টিংয়ের দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দোকানটিতে থাকা ১০টি গাড়ি পুড়ে গেছে। আগুনে ওই দোকানের ভেতরে থাকা গাড়ির ইঞ্জিনের সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়। এর পাশাপাশি আশপাশের আরও ২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর ও মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং ভেতরে কোনো দাহ্য পদার্থ আছে কি না, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিস সিলেটের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, রবিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়, পরে আগুন বিস্তৃত হওয়ায় আরও তিনটি ইউনিটসহ মোট ৮টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ওয়ার্কশপে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। রাত হওয়ার কারণে মালিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এখানে মোট ১০টি গাড়ি ও ৩টি মোটরসাইকেল ছিল। মূলত গাড়ির গ্যারেজ থেকে আগুনের শুরু হয় এবং সম্ভবত শর্ট সার্কিটের কারণে বিস্তার ঘটে। তবে সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যসহ তদন্ত চালানো হচ্ছে।




